সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : জেলার বিভিন্ন অর্থকরী ফসল গুলির মধ্যে পাট একটি। হুগলী জেলার প্রায় সবকটি ব্লকে কম বেশি পাট চাষ হয়। তবে সিঙ্গুর, বলাগড়, হরিপাল, তারকেশ্বর, পান্ডুয়া ব্লকে পাট চাষ বেশী হয়। এছাড়া শ্রীরামপুর- উত্তরপাড়া সহ বিভিন্ন ব্লকে পাট চাষ কম বেশি হয়ে থাকে। হুগলী নদীর তীরে চট শিল্প গড়ে ওঠার কারণে এই সমস্ত এলাকায় পাট চাষ বেশি। চলতি বছর আমফান ঝড়ের কারণে বেশিরভাগ জমিতে শুরুতেই জল জমে যায়। ফলে পাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এক দিকে পাট চাষের ক্ষতি এবং উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে পাটের দাম এবছরে অন্য বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশী। এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে খরচ হয় ১৫ হাজার টাকা । বর্তমানে এক কুইন্টাল পাট বিক্রি করলে দেড় হাজার টাকা বেশি পাওয়া যাচ্ছে সরকারি সহায়ক মূল্যে থেকে । বর্তমানে প্রতি কুইন্টাল পাট বিক্রি হচ্ছে পাঁচ হাজার টাকায়। সহায়ক মূল্য থেকে বেশি দাম পাওয়ার কারণে আগামী বছর পাট চাষে আগ্রহ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন পাট চাষীরা। শ্রীরামপুর - উত্তরপাড়া ব্লকের চাঁপসরা গ্রামের চাষী কমলাকান্ত দাস, মোহন্ত কোলে দের বৈদ্যবাটী তারকেশ্বর রোডের পাশে নয়নজুলিতে দেখা গেল পাট কাচতে (আঁশ ছাড়াতে) । এই বিষয়ে পাট চাষীরা বলেন পাটের ফলন কম হওয়ার কারণে পাটের দাম আছে এবছর। কিছু টাকা পাওয়া যাবে। গতবছর লাভ হয়নি। যে টাকা চাষ করতে খরচ হয়েছিল সেই টাকায় বিক্রি করতে হয়েছিল। সরকারি সাহায্য পাই না। পাট, ধান,পানিফল চাষ করেছিলাম আমপান ঝড়ের সময় ধান জমি এবং পানিফল নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক কষ্টে কিছুটা জমির পাট বাঁচাতে পেরেছি।