আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে ধাক্কা সামলে বেশ কিছুটা স্বস্তিতে পাট চাষীরা

24th September 2020 11:49 am হুগলী
আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে ধাক্কা সামলে বেশ কিছুটা স্বস্তিতে পাট চাষীরা


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : জেলার বিভিন্ন অর্থকরী ফসল গুলির মধ্যে পাট একটি।  হুগলী জেলার প্রায় সবকটি ব্লকে কম বেশি পাট চাষ হয়।  তবে সিঙ্গুর, বলাগড়, হরিপাল, তারকেশ্বর, পান্ডুয়া ব্লকে পাট চাষ বেশী হয়। এছাড়া শ্রীরামপুর- উত্তরপাড়া সহ বিভিন্ন ব্লকে পাট চাষ কম বেশি হয়ে থাকে। হুগলী নদীর তীরে চট শিল্প গড়ে ওঠার কারণে এই সমস্ত এলাকায় পাট চাষ বেশি। চলতি বছর আমফান  ঝড়ের কারণে বেশিরভাগ জমিতে শুরুতেই জল জমে যায়।  ফলে পাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এক দিকে পাট চাষের ক্ষতি  এবং উৎপাদন কমে যাওয়ার  কারণে পাটের দাম এবছরে  অন্য বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশী।  এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে খরচ হয়  ১৫ হাজার টাকা । বর্তমানে এক কুইন্টাল পাট বিক্রি করলে দেড় হাজার টাকা বেশি পাওয়া যাচ্ছে  সরকারি সহায়ক মূল্যে থেকে । বর্তমানে প্রতি কুইন্টাল পাট বিক্রি হচ্ছে পাঁচ হাজার টাকায়। সহায়ক মূল্য থেকে বেশি দাম পাওয়ার কারণে আগামী বছর পাট চাষে আগ্রহ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন পাট চাষীরা। শ্রীরামপুর - উত্তরপাড়া ব্লকের চাঁপসরা গ্রামের চাষী কমলাকান্ত দাস, মোহন্ত কোলে দের বৈদ্যবাটী তারকেশ্বর রোডের পাশে নয়নজুলিতে দেখা গেল পাট কাচতে (আঁশ ছাড়াতে) । এই বিষয়ে পাট চাষীরা বলেন পাটের ফলন কম হওয়ার কারণে পাটের দাম আছে এবছর।  কিছু টাকা পাওয়া যাবে।  গতবছর লাভ হয়নি। যে টাকা চাষ করতে খরচ হয়েছিল সেই টাকায় বিক্রি করতে হয়েছিল।  সরকারি সাহায্য পাই না। পাট, ধান,পানিফল চাষ করেছিলাম আমপান  ঝড়ের সময় ধান জমি এবং পানিফল নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক কষ্টে কিছুটা জমির পাট বাঁচাতে পেরেছি।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।